শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

দাদার ইচ্ছা পূরণে পালকিতে বউ নিয়ে এলেন নাতি

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
চার বেহালার পাল‌কি, পর‌নে কা‌লো শেরওয়া‌নি, মাথায় পাগ‌ড়ি প‌রে শতাধিক বরযা‌ত্রী নি‌য়ে নববধূ‌কে আনতে যা‌চ্ছেন বর। গ্রাম বাংলার হারা‌নো এই ঐতিহ্য হঠাৎ দেখ‌তে পে‌য়ে এলাকার মানুষজন যেমন হয়েছেন অবাক তেমনি পেয়েছেন আনন্দ।

শ‌নিবার (১ জুলাই) এমন দৃশ্য দেখা গে‌ছে কু‌ড়িগ্রা‌মের চিলমারী উপ‌জেলার রমনা এলাকায়। বর জাকা‌রিয়া সরকার স্ত্রী‌কে বরণ কর‌তে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন।

জানা যায়, বর জাকা‌রিয়া সরকার উপ‌জেলার রমনা মডেল ইউনিয়‌নের সরকারপাড়া গ্রা‌মের ব্যবসায়ী খ‌লিলুর রহমান সরকা‌রের ছেলে। এক ছে‌লে এক মে‌য়ের ম‌ধ্যে জাকা‌রিয়া বড়। তি‌নি জগন্নাথ বিশ্ব‌বিদ্যালয় থে‌কে স্নাত‌কত্তোর পাস ক‌রে‌ন। বর্তমা‌নে তি‌নি বাবার ব্যবসা দেখাশুনা কর‌ছেন। কনে ফাতেমাতুজ জোহরা পিয়ার বাড়িও একই এলাকায়। তিনি ব্যবসায়ী আবু জেয়াদ আজাদ বিপ্লবের মেয়ে। তার দুই সন্তা‌নের ম‌ধ্যে পিয়া বড়। পিয়া হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। শ‌নিবার বি‌কে‌লে পা‌রিবা‌রিকভা‌বে তা‌দের বি‌য়ে হয়।

বি‌য়ের দাওয়াতে যাওয়া আবু ছা‌লেহ, শ‌ফিকুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, পাল‌কি এক‌টি পুর‌নো ঐতিহ্য। এই যু‌গে বি‌য়ে‌তে সচরাচর বাস-মাইক্রোবাস, হেলিকপ্টারসহ আধুনিক বাহন দেখা যায়। কিন্তু জাকা‌রিয়ার বি‌য়ে‌ পাল‌কি দেখে আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছি। বিষয়‌টি সবাইকে মুগ্ধ ক‌রে‌ছে। বর জাকারিয়ার গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে বি‌য়ের প্রত্যেকটি আনুষ্ঠা‌নিকতাই ছিল জাঁকজমকপূর্ণ।

গায়ে হলুদ উপলক্ষ্যে পুরুষ‌দের জন্য ১৫০পিস পাঞ্জাবি, নারী‌দের জন্য ২০০ পিস শাড়ী উপহার দেন তি‌নি।

কনের বাবা আবু জেয়াদ আজাদ বিপ্লব ব‌লেন, আমরা একই গ্রা‌মের বাসিন্দা। বি‌য়েতে পাল‌কি থাক‌বে এটা দুই প‌রিবা‌রের সম্ম‌তি ছিল। পা‌ল‌কি গ্রাম বাংলার এক‌টি হারা‌নো ঐতিহ্য। এ প্রজন্ম পাল‌কির নাম শুন‌লেও চো‌খে দে‌খে‌নি। হারা‌নো ঐতিহ্যকে ধ‌রে রাখ‌তেই আমা‌দের এই আয়োজন।

বর জাকা‌রিয়া সরকার বলেন, বেশ ক‌য়েক বছর আগে আমার দাদা ওসমান আলী সরকার মারা গেছেন। দাদার ইচ্ছে ছিল একমাত্র না‌তির বি‌য়ে হ‌বে পাল‌কি‌তে করে। তাছাড়া কা‌লের বিবর্ত‌নে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পাল‌কি বিলুপ্ত হ‌য়ে গে‌ছে। দাদার ইচ্ছে পূরণ এবং হারা‌নো ঐতিহ্য ফি‌রি‌য়ে আন‌তে মূলত এই আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION